ছবি সংগৃহীত
রক্তপাত ছাড়া বিএনপির আমলে এদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে আওয়ামী লীগের আমলে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটছে না বলে জানান তিনি।
আজ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ভোটার উপস্থিতি ৩০ শতাংশের বেশি। আগামীকাল প্রকৃত টার্ন আউটের বিষয়টি আমরা সঠিকভাবে জানতে পারব। এখানে একটা বিষয় হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং আমাদের বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় না। এখানে কিছু সংঘাত-বিরোধ হয়। পশ্চিমবঙ্গে তো প্রাণহানি ঘটেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। আমাদের এখানে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনও ক্যাজুয়ালিটি মুক্ত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ ভোটাররা কেন্দ্রে আসেনি, একথা বলেন! এটা তো একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪২ শতাংশের বেশি। আপনারা যে নির্বাচন করেছেন ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, বিবিসি বলেছিল ৫ শতাংশ মাত্র টার্ন আউট। তখন সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশন ২১ শতাংশ বলেছিল। আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে উপস্থিতি ছিল ২১ শতাংশ, সেখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০ শতাংশ কম কীসে? আমি এটাকে ভালো বলব না।
কাদের বলেন, রক্তপাত ছাড়া বিএনপির আমলে এদেশে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়নি। বিএনপি ভোট নিয়ে মিথ্যাচার করছে। আমাদের দেশে এক শ্রেণীয় বুদ্ধিজীবী আছে, টিআইবি আছে, তাদের মিথ্যাচার আছে। মানুষের আগ্রহ নষ্ট করতে তারা নির্বাচন সম্পর্কে অপপ্রচার করেছে। উপস্থিতি যেটাই হয়েছে, আমি ভালো বলব না, তবে মোটামুটি সন্তোষজনক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে টার্ন আউট নিয়ে খুব বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই। দুইটা পর্যায়ের নির্বাচন হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে মারপিট-সংঘর্ষ হবে, শেষ পর্যন্ত কী হলো? শেষ পর্যন্ত কোনো ক্যাজুয়ালিটি নেই। প্রথম পর্যায়েও নেই, এ পর্যায়েও নেই। ইলেকশন শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পেরেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।